হারিয়ে যেতে বসেছে লালঘাড় পেঙ্গা পাখি

  20-04-2024 08:21PM

পিএনএস ডেস্ক: ভিতু ও লাজুক প্রকৃতির লালঘাড় পেঙ্গা পাখি এখন আর আগের মত দেখা যায় না। কদাচিৎ দুই-একটির দেখা মিললেও মানুষের আনাগোনা টের পেলে ভিতু এই পাখিটি ফুরুৎ করে উড়ে যায়। দেশীয় প্রজাতির হলেও এই পাখিটি আমাদের প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।

লালঘাড় পেঙ্গা পাখিটি সম্পর্কে জানা গেছে, পাখির দৈর্ঘ্য ২২ থেকে ২৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ওজন ৫১ থেকে ৭৫ গ্রাম। কপাল, গলা ও বুকের কিছু অংশ কুচকুচে কালো। মাথা ঘাড় ধূসর। ঘাড় লাল। পিঠ জলপাই-বাদামি। লেজ কালচে। বুকের নিচ থেকে পেট পর্যন্ত গাঘ বাদামি। লেজের তলা লাল। ঠোঁট কালো। চোখ রক্ত লাল। পা ধূসর কালো। এরা লাজুক স্বভাবের এবং ভিতু প্রকৃতির। একটু শব্দ পেলেই উড়ে যায়। পাখিটি স্থানীয় প্রজাতির হলেও এটি এখন আর আগের মত দেখা যায় না। তাই পাখি প্রেমীরা এই পাখিকে বিরলের খাতায় রেখেছেন। বাঁশঝাড় কিংবা ঝোপ-জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে চওড়া পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকতে এরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। দলবদ্ধভাবে এরা বাস করে। দলে কমপক্ষে ২৫-৩০টি পাখি একত্রে বিচরণ করে। এদের প্রজনন সময় মার্চ থেকে আগস্ট। ডিম পাড়ে ৩ থেকে ৪টি। ফুটতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ দিন। বাসা বাঁধে ভূমি থেকে কয়েক মিটার উচুতে। বাসা বাধার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে বাঁশপাতা, ঘাস, শিকড়, আগাছা ইত্যাদি। এদের খাবার হচ্ছে ছোট শামুক, কীটপতঙ্গ। ছোট ফলও এরা খেয়ে থাকে।

সম্প্রতি এই দুর্লভ লাল ঘাড় পেঙ্গা পাখির ছবিটি তুুলেছেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ। তিনি বলেন, নিরাপদ আবাসস্থল কমে যাওয়ায় এই পাখিটি হারিয়ে যেতে বসেছে। পাখির আবাসস্থল নিশ্চিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

এসএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন